মেধা-মনন আর জাতীয় আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অসাধারণ নৈপুণ্য লাভ করে কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনে নিবেদিত প্রাণপুরুষ হয়ে কাজ করা ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় একেএম ফারুক আর নেই।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা, নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভার্থী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনসহ সব অঙ্গনের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ক্রীড়াঙ্গনের প্রশিক্ষক একেএম ফারুক নিজেও দেশি-বিদেশি দক্ষ প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে বহু প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এসবের মধ্যে জাপান-জাইকা ও বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক অলিম্পিক সলিডারিটি কোর্স, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশিক্ষক ফিল রাসেল কতৃক ক্রিকেট পিচ নির্মাণ প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ ভলিবল রেফারিজ বোর্ডের রেফারি প্রশিক্ষণ ও বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের আয়োজিত আন্তর্জাতিক ভলিবল কো-অপারেশন প্রোগ্রাম কোর্সে অংশগ্রহণ অন্যতম।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও কিশোরগঞ্জ জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি এবং গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের খেলাধুলা সম্পাদক ও সাবেক মাঠ কাঁপানো ভলিবল খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক শহিদী মসজিদে বাদ জোহর জানাজা শেষে তাকে করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।