Logo
Logo
×

সারাদেশ

নোয়াখালী গণপূর্ত

শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর নির্বাহী প্রকৌশলী বদলি

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:১১ পিএম

শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর নির্বাহী প্রকৌশলী বদলি

নোয়াখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রে সরকারি পার্ক নির্মাণের জন্য নির্ধারিত শতকোটি টাকা মূল্যের জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের পর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। 

বিষয়টিতে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও জেলা শহরবাসী স্তম্ভিত হলেও শহরের অবৈধ দখলদার, কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ও নিম্নমানের কাজ করে জরিমানা দেওয়া ঠিকাদাররা আনন্দ প্রকাশ করছেন।

নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি কিছু ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি জেলা শহরের শতকোটি টাকার ৬৫ শতাংশ জমি দখল করে নেন। জমিটি শহরের মূলকেন্দ্র ডিসি অফিসের কাছে প্রধান ডাকঘরের সামনে পার্ক নির্মাণের জন্য নির্ধারিত গণপূর্তের মালিকানাধীন সরকারি ভূমি। দখলকারীরা জমি দখল করে রাতদিন কাজ করে সেখানে স্টিলের স্থাপনা তৈরি করে মার্কেটের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দোকান বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেন।

এ ব্যাপারে অবৈধ দখলদারদের ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী শাদ মোহাম্মদ আন্দালিব কয়েকবার বৈঠক করেন। কিন্তু দখলকারীরা কিছুতেই দখল ছাড়তে রাজি না হওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনা মোতাবেক গণপূর্ত বিভাগ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় এ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় এবং সরকারি ৬৫ শতাংশ জমি উদ্ধার করে।

এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী শাদ মোহাম্মদ আন্দালিব জেলা শহরের সোনালী ব্যাংক থেকে দক্ষিণে ইসলামিয়া সড়ক পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় দখল হয়ে যাওয়া প্রায় হাজার কোটি টাকার জমি উদ্ধারে হাত দেন। 

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাধর দখলদার ও ঠিকাদাররা একত্রিত হয়ে প্রভাব খাটিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে নোয়াখালী থেকে নীলফামারী জেলায় বদলির ব্যবস্থা করেন। উলে­খ্য, গত ২৮ এপ্রিল জমি উদ্ধারের পরপরই মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাকে বদলি করা হয়। 

নোয়াখালী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন তাদের এ পরিণতি হলে অন্য কর্মকর্তারা জেলার উন্নয়নে ভালো কাজ করতে উৎসাহী হবেন না।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী শাদ আন্দালিব তো সরকারের স্বার্থে কাজ করেছেন। এ জমি উদ্ধারের আগেও ফ্ল্যাট রোডেও ৩০ কোটি টাকার জমি উদ্ধার করেছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী শাদ মোহাম্মদ আন্দালিব বলেন, আমরা সরকারি চাকরি করি। সরকার যখন যেখানে বদলি করবেন সেখানে গিয়ে জনগণের সেবা দিতে হবে। হাসির ছলে তিনি বলেন, নোয়াখালীর এ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার জন্য তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকার অফার এসেছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। তিনি সরকারি জমি উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য যুগান্তর, সংবাদ, সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম