কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে চুরির অপবাদে দুই জেলেকে ধরে নিয়ে রাতভর মারধরের পর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বেলা ১২টায় খুরুশকুল ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন মনুপাড়ায় মৎস্য ঘেরের বাঁধ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মনুপাড়ার বাসিন্দা জামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (২২) ও আবু তাহেরের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৪)।

কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মছিউর রহমান জানান, সকালে মনুপাড়ায় শামসুল হুদার মৎস্য ঘেরের পাশে দুই ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশের একটি দল ওই ঘেরের বাঁধের ওপর উপুড় অবস্থায় লাশ দুটো উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকলেও বৈদ্যুতিক শকের মতো পোড়া ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করলেও প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।

খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল যান। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও নিহতদের শরীরে বৈদ্যুতিক শকের চিহ্ন রয়েছে বলে চেয়ারম্যানও নিশ্চিত করেন।

নিহত ইয়াছিনের বাবা আবু তাহের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন স্থানীয় কাজল মেম্বার এবং শামসু মেম্বারের ছেলে ইমতিয়াজ। ধারণা করছি, তাদের মৎস্য ঘেরে নিয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর লাশ পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

খালেকের বাবা জামাল হোসেনও একই কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের ধরে নিয়ে মারধর করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

পুলিশ পরিদর্শক মছিউর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটো জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সম্পর্কে জানান চেষ্টা চলছে।

এদিকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আরও অঘটন ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।