ঘুমাতে পারছেন না ওবায়দুল কাদের, কারণ জানালেন মির্জা কাদের
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আপন ছোট ভাই শাহাদত হোসেনের জন্য বড় ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি রাতে ঘুমাতে পারছেন না। সাংবাদিকদের সামনে গেলে তার চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, না জানি সাংবাদিকরা কী প্রশ্ন করে তাকে বিব্রত করেন। সাংবাদিকদের কী জবাব দেবেন তিনি? কারণ ছোট ভাই নামে কুলাঙ্গারটা (শাহাদত) কি মন্ত্রী বা আমার মুখ রেখেছেন?
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা আবদুল কাদের তার সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরীর আনারসের পক্ষে বৃহস্পতিবার পৌর মিলনায়তনে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন— ও আমার ভাই না। আমিও বলছি— এ কুলাঙ্গারটা আমারও ভাই না।
কাদের মির্জা আরও বলেন, যদি সে আমাদের ভাই হতো, তা হলে বড় ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে সিদ্ধান্ত দিয়েছে— মন্ত্রী ও এমপির আত্মীয়স্বজনরা উপজেলায় নির্বাচন করতে পারবে না; সেখানে সে ভোট করছে! এখন ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে, দলের কাছে কী জবাব দেবেন? মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায় যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে, তাদের কাছে কী জবাব দেবেন তিনি?
তা ছাড়া আমি তার বড় (শাহাদাত) ভাই মেয়র। আর সে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চায় আমার কি ইজ্জত থাকে?
জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্ত— ওবায়দুল কাদের ও মির্জা কাদেরের নিষেধ অমান্য করে তাদের আপন ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন শাহাদাত। আপিলেও বাতিল হয় তার মনোনয়নপত্র। এরপর তিনি হাইকোর্টের মাধ্যমে তার প্রার্থিতা ফেরত পেয়ে এলাকায় এসে নির্বাচন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ কারণে মির্জা কাদের তার ওপর ক্ষিপ্ত হন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাকে মন্ত্রীও নিষেধ করেনি। তিনি (মির্জা আবদুল কাদের) নিষেধ করেননি। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। তা ছাড়া মেয়র সাহেব আমার বিরুদ্ধে যেভাবে বিষোদগার ও কুৎসা বক্তব্য রাখছেন তা নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গের আওতায় পড়ে।