ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশের কোন তরুণ-তরুণী ইনশাল্লাহ কর্মহীন থাকবে না, বেকার থাকবে না। যদি আমরা তাদেরকে দক্ষ, যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
তিনি আরও বলেন, দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই শেখ হাসিনা সরকার, আইসিটি উপদেষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই একের পর এক প্রকল্প এবং কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
শনিবার দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে সুইসকন্টাক্টের তত্ত্বাবধানে, ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত ‘বিল্ডিং ইয়ুথ এমপ্লয়াবিলিটি থ্রু স্কিলস’ প্রকল্পের আওতায় ৩ মাস মেয়াদি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ডিজিটাল পল্লী এ স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক এসব কথা বলেন।
পরে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিজের নাম অন্তর্র্ভূক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ডিজিটাল পল্লী, এ স্মার্ট ভিলেজ ২০২৪ এর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞাঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন, উপদেষ্টা ড. তরুণ কান্তি শিকদার, নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা, ই-ক্যাবের পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, হাড় পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় নারীদের প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমাদের বোনেরা, নারীরা ও কন্যা সন্তানেরা কোন পরিবারের বোঝা হিসেবে নয় সম্পদ হিসেবে পরিণত হচ্ছে। শুধুমাত্র নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই ৩৭ হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পলক আরও বলেন, আমরা যদি নারী-পুরুষ, শহর-গ্রাম, ধনী-দরিদ্র সবাইকে সম্পৃক্ত করে বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলার আধুনিক রুপ, একটা ইনক্লুসিভ অন্তর্ভূক্তিমূলক স্মার্ট সোসাইটি গড়ার জন্য এক সাথে কাজ করি তাহলে ২০৪১ সালের আগেই তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে ইনশাল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলা সম্ভব।