ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও কয়েকশ গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় গাছপালা পড়ে যান চলাচলও ব্যাহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছপালা সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কালবৈশাখীর এ তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, মাইটকুমরা, শেখপুর, ছত্তরকান্দা, রূপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল, কাটাগড়, কলিমাঝি, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া, জয়পাশা, তামারহাজি, আলফাডাঙ্গা উপজেলার টাবনি, হেলেঞ্চা, পাড়াগ্রাম, বানা, বারাংকুলা ও চরডাঙ্গা এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাড়ি থেকে বাজারের দিকে জরুরি ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে বাতাস শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। ভেঙে গেছে ঝড়ে অনেক ঘরবাড়িও।
আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার ওবায়দুর রহমান জানান, কালবৈশাখীতে বোয়ালমারীর সহস্রাইল বাজার থেকে আলফাডাঙ্গা সড়কে বড় কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে আমরা গাছপালা অপসরণ করেছি। ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, রুপাপাত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে কালবৈশাখীর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ের পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোর্শেদুর রহিম জানান, ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মেইন লাইন কানাইপুরে ক্ষতির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক জায়গায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া বোয়ালমারীর জয়পাশা ও ময়েনদিয়া এলাকায় বিদ্যুতের পিলারও পড়ে গেছে। আলফাডাঙ্গারও কয়েকটি জায়গায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পাইনি। আমরা প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে কাজ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।