সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের এমপি জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার আপন ফুফাতো ভাইয়ের পক্ষে ভোট চাওয়াসহ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সংখ্যালঘুদের মাঝে অনাস্থার সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদেব কুমার সাহা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদেব সাহা অভিযোগ করেন, দলীয় প্রধান হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন কোনো মন্ত্রী-এমপি সরাসরি কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং পরিবারের কাউকে প্রার্থী করতে পারবেন না। কিন্তু মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তার আপন ফুফাতো ভাইকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করে তার পক্ষে সরাসরি কাজ করছেন এবং সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রতিনিয়ত দলের বিভিন্ন ফোরামকে ডেকে সদর উপজেলা নির্বাচনে তার ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেনের পক্ষে কৌশলে প্রভাব বিস্তার করছেন। সর্বশেষ সোমবার সকালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত নির্বাচনি কার্যালয় গড়পাড়ার শুভ্র সেন্টারে সদর উপজেলার ইমাম মোয়াজ্জেম, মাদ্রাসাশিক্ষক ও প্রিন্সিপালদের নিয়ে নির্বাচনি সভা করেন। সেই সভায় আপত্তিজনক ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। ফলে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সংখ্যালঘুদের মাঝে অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেন সুদেব সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে সুদেব সাহা আরও বলেন, এমপি জাহিদ মালেক দলীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- সদর উপজেলায় তার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে, দলীয় পদ থাকবে না বলে। সেই সঙ্গে বর্তমান জনপ্রতিনিধি ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের ডেকে এমপি তার ফুফাতো ভাইয়ের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। এমপি জাহিদ মালেক তার ভাইকে ভোট দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন সুদেব সাহা।
তিনি সাবেক মন্ত্রী ও এমপি জাহিদ মালেকের ক্রমাগত নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা ও শঙ্কা হিসেবে মনে করছেন।