নোয়াখালীতে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলায় ফিরোজ শাহ মাইজভাণ্ডারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদুর রহমান ওরফে আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এক ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী সুধারাম মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা করেন।
ভিকটিমের স্বামী জানান, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এক স্কুল শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি তার মোবাইলে পাঠিয়ে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ অভিযোগে ওই শিক্ষিকার স্বামী ফিরোজ শাহ মাইজভাণ্ডারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদুর রহমান ওরফে আমজাদ হোসেনসহ আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে শনিবার বিকালে মামলা করেন। পরে আমজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আমজাদ মাইজদী কোর্ট এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে মানহানি ও চাঁদা দাবির ঘটনায় আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।