রাঙামাটির লংগদুতে দুই ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম ফারুক আহমদ। তিনি লংগদুর রাজনগর রাজারবাগী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। শুক্রবার বিকালে লংগদু উপজেলার ৩নং গুলশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রাজনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার আটক শিক্ষক ফারুক আহমদকে লংগদু থানায় হস্তান্তর করে গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ওইদিন বিকালে পাশের বাগান থেকে বাঁশ কেটে নিয়ে আসার কথা বলে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে যান ফারুক আহমদ। পরে সেখানে গাছে পাতানো একটি মাচাঘরে নিয়ে ছাত্রদের যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। এর আগেও তৃতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তখন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান দেন এলাকার মানুষ। শুক্রবারের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষে অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ফারুক আহমদকে আটক করে শনিবার সকালে লংগদু থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর এক চাচা এবং অন্য শিশুর বাবা বলেন, একজন শিক্ষক যদি এমন আচরণ করেন, তাহলে আমাদের সন্তানরা কার কাছে নিরাপদ থাকবে। ওই শিক্ষক আমাদের সন্তানদের মিথ্যা কথা বলে জাঙ্গলে নিয়ে কুকর্ম করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা হাফিজ বলেন, শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়ে বলেছিলেন বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবেন। সেই সুবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে যান। পরবর্তীতে লোক মুখে জানতে পারি তিনি ছাত্রদের বলৎকার করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুটির পরিবার আমার কাছে আসলে আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলি।
গুলাশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমার কাছে খবর এলে আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে তাদের কথা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওলি উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে যাই। পরবর্তীতে শনিবার তাকে আমাদের লংগদু থানায় হস্তান্তর করি।
লংগদু থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।