মধ্যরাতে দরজা ভেঙে নারীর কক্ষে ঢুকল ৭ পুলিশ!
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ১১:০০ পিএম
ফাইল ছবি
আসামি ধরার নামে মসজিদের একজন ইমামকে লাথি ও এক নারীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে ঘাটাইল থানা পুলিশের এএসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে। সেখানে নেতৃত্ব দেন এএসআই আলমগীর হোসেন।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের আমুয়াবাইদ গ্রামে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমরা তো কোনো অপরাধী না। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও ছিল না। অথচ রাত দেড়টার সময় আমরা যখন ঘুমিয়ে ছিলাম ঠিক তখন হঠাৎ পুলিশ এসে বাড়ির গেট ভেঙে বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এরপর আইনের লোক পরিচয়ে ঘরের দড়জা খুলতে বলে। খুলতে দেরি হওয়ায় দড়জায় লাথি মেরে ভেঙে ফেলে। ওই রুমে তখন আমি শুধু ছিলাম। আমি নারী হওয়া সত্ত্বেও তারা ৭ জন পুলিশ ঢুকেছে। একজনও নারী পুলিশ ছিল না। তারা আমাকে নাজেহাল করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে মসজিদের ইমাম ভুক্তভোগী রাব্বানি বলেন, তখন রাত দেড়টা বাজে। ওই সময় বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা মানে কোনো চোর ডাকাত বা সন্ত্রাসী আসতে পারে এটাই স্বাভাবিক। আসামি না হওয়া সত্ত্বেও তারা এভাবে দরজা ভেঙে বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করেছে এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।
দরজা ভেঙ্গে নারীর কক্ষে প্রবেশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে এএসআই আলমগীর হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার তদন্ত ওসি সজল খান যুগান্তরকে বলেন, একই নামের আসামি থাকায় ওই বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। পরে নাম ভুল হওয়ায় পুলিশ চলে এসেছে। তবে তারা দরজা খুলতে দেরি করায় পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।