মেহেরপুরের আমবাগানগুলোতে এবার আম ও লিচু তেমন নেই। রাতে ঠান্ডা ভাব আর দিনে দাবদাহের কারণে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচু।
চাষিরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে আমের মুকুল এসেছিল। আমের গুটিও হয়। তারপর হালকা বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে টানা খরা চলমান থাকায় আম ঝরে পড়ছে। যেগুলো টিকে আছে, সেগুলো তাপপ্রবাহের কারণে আর বড় হচ্ছে না। কিন্তু ঝরে পড়া অব্যাহত আছে। ফলে মেহেরপুরের বাগানগুলোতে এবার অল্প কিছু আমের ফলন হবে। কিন্তু দাম হবে আকাশছোঁয়া। বাগান মালিকরা বলেন, এখন বৈরী আবহাওয়া। রাতে ঠান্ডা ভাব, দিনে দাবদাহ। এ কারণে ঝরে যাচ্ছে আম। ফলে চলতি মৌসুমে আম-লিচুর ফলনে বিপর্যয় বিষয়টি নিশ্চিত।
জানা গেছে, এ জেলায় আমের বাগান রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৬ হেক্টর জমিতে। ল্যাংড়া, বোম্বাই, হিমসাগর, ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ, হাঁড়িভাঙাসহ বেশ কয়েকটি বনেদিজাতের আমবাগান রয়েছে। লিচুর বাগান রয়েছে ৮০০ হেক্টর জমিতে। এসব বাগানে আঁটি লিচু, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই, আতা-বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়।
চলতি বছরে জেলায় সাড়ে ৮ হাজার টন লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলা শহরের ফুলবাগান পাড়ার আমচাষি আতিক হোসেন জানান, এবার তিনি তিনটি আম-লিচুর বাগান কিনেছেন। দাবদাহের কারণে আম-লিচুর গুটি অধিকাংশই ঝরে গেছে।
সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমচাষি বুলবুল হোসেন বলেন, ঝরে পড়ার পড় যা আছে, তাতে পরিচর্যা খরচ উঠবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সামসুল আলম বলেন, বিকালের দিকে পরিমিত মাত্রায় বোরন স্প্রে করলে ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব।