যমুনা নদীর তীরে পড়ে ছিল দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত লাশ
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের দিনমজুর জামাত আলী ফকিরের (৬০) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। যমুনা নদীর তীরে ওই দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে ছিল।
নিহত জামাত আলী ফকির গালা ইউনিয়নের বায়রা গ্রামের মৃত কোবাদ আলী ফকিরের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ৭-৮ বছর আগে জামাত আলী ফকিরের স্ত্রী-সন্তান তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে সে তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে যমুনার চরের বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করতেন।
গত শনিবার বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হানিফ ও সাহেব আলী নামের দুই দিনমজুর কাজের কথা বলে জামাত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পরিবারের লোকজনকে জানতে পারে জামাত আলীর ক্ষতবিক্ষত লাশ বৃ-হাতকোড়া যমুনা নদীর তীরে পড়ে আছে।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এদিন রাতে তার লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বায়রা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার সকালে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে শাহজাদপুর থানা পুলিশ বায়রা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত জামাত আলীর বৃদ্ধা মা কমেলা খাতুন, ভাই আশরাফ আলী ফকির ও আজাদ ফকির জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন সহজ সরল জামাত আলী দিনমজুরি করে ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘোল বিক্রি করে যে পয়সা উপার্জন করতো সংসারে খরচের পর তা নিজের কোমরের থলে বেঁধে রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই টাকা হাতিয়ে নিতে বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের হানিফ ও সাহেব আলী তাকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ যমুনা নদীর তীরে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই দুইজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।