Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জমিতে চেয়ারম্যানের এ কেমন সাইনবোর্ড!

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জমিতে চেয়ারম্যানের এ কেমন সাইনবোর্ড!

পটুয়াখালীর বাউফলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জমিতে সাইনবোর্ড সাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লার বিরুদ্ধে। তিনি তিন সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে ও বাউফল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

ভুক্তভোগী দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান হাওলাদার অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি বাউফল উপজেলার কালাইয়ার ল্যাংড়া মুন্সির পোল এলাকায় স্থানীয় নকু মৃধার ছেলে কাওসার মৃধার থেকে দুই শতাংশ জমি কিনে দোকানঘর করে ভাড়া দেন। ৩০ এপ্রিল ওই দোকান ঘরের স্থানের জমিতে কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা তার মোবাইল নম্বর দিয়ে একটি সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেন।

সাইনবোর্ডে চেয়ারম্যান লেখেন, ‘এই জমির মালিক, শাহজাহান-এর কাছে অনেক লোক টাকা পাবে। কোনো লোক যদি এই জমি ক্রয় করেন, তাহলে কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে জমি ক্রয় করবেন। অন্যথায় জমি দখল পাবেন না। যোগাযোগ চেয়ারম্যান সাহেব-’

এ বিষয়ে জমির মালিক শাহজাহান জানান, তার কাছে কেউ কোনো টাকা পাবেন না। চেয়ারম্যান অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য তার জমিতে সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছেন।

শাহজাহান অভিযোগ করেন, সাইনবোর্ড সাঁটানোর বিষয় তিনি চেয়ারম্যানে কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তাকে হুমকি-ধমকিসহ ভয়ভীতি দেখান।

অভিযোগের বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, শাহজাহান আমার আত্মীয়। উনি তার স্ত্রীকে একতরফা তালাক পাঠিয়েছেন। তার স্ত্রী আমার কাছে অভিযোগ করেছেন এবং এলাকার অনেক মানুষ তার (শাহজাহান) কাছে টাকা-পয়সা পাবে। তাই আমি ওই সাইন বোর্ড দিয়েছি। তাতে যা হয় হোক। আপনি নিউজ করেন, ভাইরাল করেন, যা করার করেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

বাউফল থানার ওসি শোণিত কুমার গায়েন বলেন, আমি চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে কথা বলে দেখি আসল ঘটনা কি। তিনি কেন এমন করেছেন। এলাকায়ও আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি ব্যাপারটি কি। উনি তো এমপির ভাইয়ের ছেলে। আপনি উনার (এমপির) সঙ্গে কথা বললে আরও ভালো হয়।

আ স ম ফিরোজ এমপি বলেন, ওই লোক (শাহজাহান) আমাকে ফোন করেছিলেন। কি করতে হবে আমি উনাকে বলে দিয়েছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম