Logo
Logo
×

সারাদেশ

নোয়াখালীতে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৮ শিক্ষার্থী

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭ পিএম

নোয়াখালীতে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৮ শিক্ষার্থী

নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

রোববার সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। 

হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল দশটার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। একপর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন অষ্টম শ্রেণির দুইজন নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুইজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

ফাতেমা ইসরাত আরও জানান, শিক্ষার্থীদের কারো পেট ব্যথা কারো মাথা ব্যথা কারো চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণি শিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান। তিনি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সব শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা এরই মধ্যে গরমের কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

অপরদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাই স্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি।  
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম