বড়লেখায় কালবৈশাখীতে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
বড়লেখায় শনিবার রাতে তৃতীয় দফা কালবৈশাখী তাণ্ডব চালিয়েছে। উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার সর্বত্র ঝড় বয়ে গেলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর, দাসেরবাজার ও নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এলাকায়।
এই চার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৫ শতাধিক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ লাইন। অনেকের বসতঘর ও বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি ও খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইন লন্ডভন্ড করায় ঝড়ের প্রায় ২৬ ঘণ্টা পরও এই চার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে পারেনি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় প্রচণ্ড বেগে ভারি বর্ষণ আর ঝড়। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে রাত আটটার দিকে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, শনিবারের ঝড়ে তার ইউনিয়নের অন্তত ১০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এর আগের দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ পাওয়া যায়নি।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, এবারের ঝড়েও তার ইউনিয়নের দেড় শতাধিক পরিবারের বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের দুইবারে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৫-৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।
দাসেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন কুমার চক্রবর্তী জানান, শনিবার ঝড়ে তার ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়িঘরের চালা উড়ে গেছে। অনেকের ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে ঘর ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ করছেন। গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত তার ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (কম) শহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলার উত্তরাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোতে কালবৈশাখী ঝড়ে মারাত্মক ক্ষতি করেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ লাইনের ওপর বড় বড় গাছ পড়েছে। এগুলো অপসারণের কাজ চলছে। কিছু জায়গায় রোববার দুপুর বিকালের দিকে লাইন চালু করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আগের দুই দফায় ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো ত্রাণ আসেনি। শনিবারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তার কার্যালয়ে প্রেরণ করতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন।