তিন দিন আগে মাদ্রাসায় রেখে যাওয়ার পর পদ্মায় মিলল ছাত্রের লাশ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে নিখোঁজের একদিন পরেই পদ্মা নদীতে মো. নাঈম নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিন দিন আগে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় রেখে যান তার মামা।
রোববার সকালে উপজেলার আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাটে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পান। পরে দুপুরের দিকে ফরিদপুর নৌ পুলিশ পদ্মা নদী থেকে নাঈমের লাশ উদ্ধার করে।
ফরিদপুর নৌ থানার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী ও হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নুর এ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্র নাঈম নিখোঁজ হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানা পুলিশ কিংবা পরিবারকে অবহিত করেননি। না জানানো নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মরদেহটি আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মক্তব বিভাগের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মো. নাঈমের (১০) বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার। নাঈম সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর এলাকার মৃত এলাহী মিয়ার ছেলে।
বাবা মারা যাওয়ায় নানার বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর বালিরটেক এলাকায় থাকত সে।
এদিকে মাদ্রাসাশিক্ষক, নাঈমের পরিবার ও পুলিশ জানায়, নাঈমের ক্লাস শুরু হলে গত তিন দিন আগে মাদ্রাসায় রেখে আসেন মামা আল আমিন। শনিবার বিকাল থেকে নিখোঁজ হয় নাঈম। তবে নানার বাড়িতে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়নি।
নাঈমের মামা আল আমিন অভিযোগ জানান, তিন দিন আগে নাঈমকে মাদ্রাসায় রেখে গেছেন তিনি। শনিবার বিকাল থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। নাঈম নিখোঁজ হলেও মাদ্রাসাশিক্ষকরা তাদের জানাননি। তার এক আত্মীয়ের ছেলে একই মাদ্রাসার ছাত্র রোববার সকালের দিকে তাকে জানিয়েছে নাঈমের লাশ পদ্মায় ভাসছে।
আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম নাঈম নিখোঁজ হওয়ার খবর ও পদ্মায় লাশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নুর এ আলম জানান, মাদ্রাসাছাত্র নিখোঁজের বিষয় মাদ্রাসা থেকে লিখিত বা মৌখিকভাবে তাদের জানানো হয়নি। তবে রোববার স্থানীয়রা পদ্মা নদীতে একটি মরদেহ ভাসমান দেখতে পেয়ে তাদের জানায়। পরে ফরিদপুর নৌ থানা পুলিশকে জানানো হলে দুপুরনাগাদ লাশটি তারা উদ্ধার করে।
ফরিদপুর নৌ থানার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী জানান, পদ্মা নদীতে ভাসমান মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে তাদের টিম।