সড়কের শতকোটি টাকার জমি দখল আ.লীগ নেতার
মনিরুজ্জামান চৌধুরী, নোয়াখালী
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
সড়কের শতকোটি টাকা মূল্যের জমি দখলে নিয়ে দোকানপাট তুলেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও তার সহযোগীরা। এক্ষেত্রে তারা সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। তবে মন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন।
নোয়াখালী সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নোয়াখালী-কুমিল্লা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে সোনাইমুড়ী উপজেলা শহরের বাইপাস এলাকা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিছুদিন আগে সেই জমি সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকেরের নেতৃত্বে কয়েকজন রাতের আঁধারে দখল করে দোকান ঘরে তৈরি করেছেন।
একটি দোকানে থাকা খোরশেদ আলম জানান, এটা অবৈধ নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি মমিনুল হক বাকের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে অনেক কষ্টে অনুমতি এনে ঘর তৈরি করছেন। তার একার পক্ষে লাখ লাখ টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা শেয়ারে আছি।
এ ব্যাপারে জানতে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রাইভেট সেক্রেটারি গৌতম পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীকে জানিয়ে কেউ সড়কের জমিন দখল করে নেবে এটা সত্য নয়। অবৈধ দখলদারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হবে।
এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই জমি দখলের পাঁয়তারার সংবাদ পেয়ে গত বছর ৩০ অক্টোবর সোনাইমুড়ী থানায় চিঠি লিখি। কিছুদিন আগে জমি দখলের চেষ্টা হলে থানাকে জানালে সেখান থেকে নিষেধ করা হয়। কিন্তু দখলকারীরা কারও কোনো কথা শোনে না।
নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য সরকার বলেন, রোববার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ নিয়ে আলোচনা এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের বলেন, জেলা পরিষদ থেকে জমি লিজ নিয়ে আমরা দোকানপাট তুলেছি। বিষয়টি কাদের ভাইও জানেন।
এ প্রসঙ্গে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দখলকৃত ভূমিটি সড়ক বিভাগের। এখন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর রিকুইজিশন দিতে হবে। সেখান থেকে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হলে দখলদারদের উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেব।