দুর্বিষহ গরমের পাশাপাশি মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে। পবিত্র ঈদের পর থেকেই তাপপ্রবাহ আর গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ঘটেছে ছন্দপতন।
মঙ্গলবার ভোরে দিনের তাপমাত্রা একটু কমলেও সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে কুয়াশা কেটে গিয়ে তেজদীপ্ত সূর্যের দেখা মেলে। তাপপ্রবাহ আর গরমের কারণে জেলা সদর হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এমনিতেই গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমের মধ্যে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ভেলকিবাজিতে অস্বস্তিতে ভুগছে মানুষ।
শেরপুর পৌরসভার শেখহাটি মহল্লার কালুমিয়া, বাদশা মিয়া, কুদ্দুস আলী, আনিস ও মালতি বেগম বলেন-কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঝাপসা দেখাচ্ছিল তারা।
গরমে জেলায় সবচেয়ে কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিকশা চালক, কুলি, বালু ও ইট টানা শ্রমিকদের কষ্ট অবর্ণনীয়। তীব্র গরমের কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। শেরপুর জেলায় কোনো আবহাওয়া অফিস না থাকায় দিনের তাপমাত্রাসহ আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানা সম্ভব হচ্ছে না।