ভোলার আলীনগর ও চরসামমাইয়া ইউনিয়ন সীমানায় সুকদেব ডাকঘরটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও এটি ব্যবহার হচ্ছে পোস্টমাস্টারের ব্যবসায়িক সেন্টার হিসাবে। ডাকঘর ভবনের দুটি কক্ষেই রয়েছে দুটি বিশাল আকারের ডিপফ্রিজ। যার মধ্যে সংগ্রহ করা হচ্ছে আইসক্রিম। এখান থেকে নিয়েই বাজারে বিক্রি করা হয় তা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ওই পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায় দুটি কক্ষে তালা ঝুলছে। ডাকটিকিট নেওয়ার পকেট স্থানটিতে ধুলাবালিতে ঢাকা। অফিসে নেই পোস্টমাস্টার। ছিল না পোস্টম্যান। রেভিনিউ স্ট্যাম্প নিতে এসে ফিরে যান কয়েকজন। পোস্টমাস্টার মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে জানান, তার বাবা বাজারে তাদের দোকানে দোকানদারি করছেন। পোস্ট অফিসের ভেতর রাখা আইসক্রিম ফ্রিজ দোকানের। পোস্টমাস্টারকে তার মোবাইল ফোনসেটে কল দিলে, জানান রোগী দেখতে তিনি ভোলা হাসপাতালে গেছেন। আসতে দেরি হবে। বললাম ভাই জরুরি প্রয়োজনে ৫টি রেভিনিউ স্ট্যাম্প কিনতে এসেছি। দুপুর আড়ইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও অফিসে আসেননি ওই পোস্টমাস্টার। ওই অফিসে সংযুক্ত ডাকপিয়ন অমল কৃষ্ণ দে জানান, চিঠি থাকলে তিনি কেবল তা বিতরণ করেন। তিনি ৩টি পোস্ট অফিসে দায়িত্ব থাকায় একদিন পর একদিন আসেন। আইসক্রিসহ ফ্রিজ পোস্টমাস্টার রেখেছেন। ৭-৮ মাস ধরে তিনি আইসক্রিমের এজেন্সি এনেছেন।
জেলার প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার মো. কামরুল আহসান বিষয়টি শুনে অবাক হন। তিনি সদ্য যোগদান করেছেন উল্লেখ করে বলেন, পোস্ট অফিসের সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। মনিরুল ইসলাম যে কাজ করছেন তা সঠিক নয়। তার বিরুদ্ধে যথানিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা। ওই দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন জানান, সরকারের কোনো অফিস কারও ব্যক্তিগত কাজে বা ব্যবসা সেন্টার হতে পারে না। তিনি জরুরি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।