Logo
Logo
×

সারাদেশ

মদনে প্রবাসী স্বামী-স্ত্রীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব যুবক

Icon

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫ পিএম

মদনে প্রবাসী স্বামী-স্ত্রীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব যুবক

মদনে প্রবাসী স্বামী-স্ত্রীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব এক অসহায় কৃষক পরিবার। দুবার ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ঢাকায় বিমানবন্দরে পাঠায় এ প্রতারক চক্রটি। উলটো পরিবারটিকে দিচ্ছে প্রাণনাশ ও মানহানি মামলার হুমকি। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি বিচারের আশায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারটি উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত প্রবাসী আল আমিন ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম একই গ্রামের। আল আমিন সিরাজ মিয়ার ছেলে। 
জানা গেছে, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে আছেন। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তার স্ত্রী নাজমা বেগম গোবিন্দশ্রী গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছেন। আল আমিন ও স্ত্রী নাজমা বেগম একই গ্রামের কৃষক আবুল কালামের ছেলে অলি আহম্মদকে সৌদি আরব নিয়ে কাজ দিবে বলে ফাঁদ তৈরি করে। সৌদি আরব নেওয়ার কথা বলে প্রথম ওই পরিবার থেকে আল আমিনের স্ত্রী নাজমা বেগম ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে অলিকে ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে ভুয়া কাগজপত্র দেওয়ায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরে আসে। এ নিয়ে আল আমিন ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তারের সঙ্গে অলির পরিবার কথা বললে ভুল হয়েছে বলে তারা জানান। পরে আবার সৌদি আরব নিবে বলে দ্বিতীয় দফায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। আবার ভুয়া কাগজপত্র দিলে দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকার বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসে অলি আহম্মেদ। আল আমিন ও তার স্ত্রীর এমন প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন নিয়ে তাদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভুক্তভোগীর পরিবার মদন থানায় ২ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু মদন থানায় অভিযুক্ত নাজমা বেগমের এক আত্মীয় পুলিশ সদস্য কর্মরত থাকায় কোনো সুরাহা পায়নি। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রবাসীর স্ত্রী উলটো মানহানি মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। বিচারের আশায় রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন অলি আহম্মেদ। 

প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, অলি সৌদি আরব যাবে বলে কথাবার্তা হয়েছে। আমি কোনো টাকা অলির কাছ থেকে নিইনি। বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা আমি ফেরত নিয়েছি।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, থানায় যে অভিযোগ দিয়েছিল সেই বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম