Logo
Logo
×

সারাদেশ

তীব্র দাবদাহ: জমিতেই নষ্ট হচ্ছে বাঁধাকপি

Icon

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ পিএম

তীব্র দাবদাহ: জমিতেই নষ্ট হচ্ছে বাঁধাকপি

মেহেরপুরে কপিচাষিদের কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ হয়েছে। বাঁধাকপি (পাতাকপি) চাষে কেউ বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছে। কেউবা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লোকসান গুনছে। চৈত্রের দাবদাহে কেউ শীতের সবজি কপি কিনতে চাচ্ছে না। ফলে জমিতেই কপি নষ্ট হচ্ছে। শুক্রবার জেলা শহরের উপকণ্ঠে বামনপাড়া মাঠে দেখা যায় জমি থেকে অনেক চাষি কপি সংগ্রহ করেনি।

সেসব জমিতে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে পাতাকপি। বামনপাড়ার কপিচাষি হুরমত আলী জানান, জমি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ বাজারে যে দামে কপি বিক্রি হচ্ছে তাতে সংগ্রহ করে বাজারজাত করা খরচ ফিরবেন। ওই গ্রামের কপিচাষিদের কেউ কেউ জমি উন্মুক্ত করে দিলে অনেকেই গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান। জেলায় অন্তত এক কোটি টাকার কপি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। কপিচাষিরা জানান, এই কপি কেটে আশপাশের কোথাও ফেলে দিলে পচে দুর্গন্ধ ছড়াবে। পরিবেশ দূষণ হবে বলে চাষিরা জমিতেই লাঙ্গল দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন। তাতে করে কপি পচে জৈব সারের কাজ করবে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  জেলায় সবজির ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজার থেকে অন্য জেলাগুলোতেও চাহিদা থাকলেও চাষিরা দাম পাচ্ছেন না।

জেলায় কাঁচা পণ্য সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। যদিও স্থানীয় সংসদ-সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন স্বল্প সময়ের মধ্যেই জেলাতে একটি সবজি সংরক্ষণাগার তৈরির কথা শুনিয়েছেন বিভিন্ন সমাবেশে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, মেহেরপুরের কীটনাশকমুক্ত ১৪শ টন বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। বিদেশের বাজার ধরতে পারলে আগামীতে আর চাষিদের লোকসান গুনতে হবে না। কপি শীতের সবজি। এই গরমে সবজির চাহিদা কমে গেছে বলেই বাজারে কপির ক্রেতা নেই।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম