Logo
Logo
×

সারাদেশ

উৎসবে মুখর পাহাড়

Icon

সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম

উৎসবে মুখর পাহাড়

ফাইল ছবি

উৎসবে মুখর হয়ে উঠছে রাঙামাটিসহ পাহাড়ি জনপদ। এবার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব, বাংলা নববর্ষবরণ এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর একসঙ্গে উদযাপিত হওয়ায় পাহাড়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় মুখরতা বাড়িয়েছে। উৎসব ঘিরে শেষ মুহূর্তেও চলছে কেনাকাটার ধূম।

পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে ইতোমধ্যে রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী মেলা ৬ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এরপর ১০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে তিনদিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। ‘বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু সাংক্রান বিহু ২০২৪’ উদযাপন কমিটি সর্বজনীন এসব কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলো প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে যুগযুগ ধরে পালন করে আসছে তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব বিজু। বিজু চাকমাদের রীতি-প্রথার শব্দ।

পাহাড়িদের এ প্রধান সামাজিক উৎসবকে ত্রিপুরাদের বৈসুক, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এ তিন ভাষার আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবিও বলা হয়। উৎসব ঘিরে মুখর হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ। বইছে উচ্ছ্বাস ও আনন্দধারা। ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল পাহাড়িদের ঘরে ঘরে পালিত হবে তিন দিনের মূল উৎসব।

উৎসবকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে আয়োজিত তিন দিনের সর্বজনীন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা ১০ এপ্রিল সকালে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান এবং প্রধান থাকবেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

এদিন সকালে উদ্বোধনী শেষে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ গিয়ে শেষ হবে। বিকাল ৩টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিন ১১ এপ্রিল সকালে রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী জুম খেলাধুলা, বিকাল ৩টায় বলী খেলা এবং সন্ধ্যায় কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শেষ দিন ১২ এপ্রিল ভোরে শহরের রাজবন বিহারের পূর্বঘাটে ফুল ভাসিয়ে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। এদিন থেকেই ঘরে ঘরে উদযাপিত হবে তিন দিনের মূল উৎসবের প্রথমদিন ফুলবিজু, দ্বিতীয় দিন ১৩ এপ্রিল মূলবিজু এবং শেষদিন ১৪ এপ্রিল বা পয়লা বৈশাখ গোজ্জেপোজ্যা দিন।

এর সবশেষে ১৬ এপ্রিল রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে মারমা সম্প্রদায়ের সর্বজনীন ঐতিহ্যবাহী পানি খেলার মধ্য দিয়ে এ বছরের উৎসব শেষ হয়ে যাবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম