ঈদের ছুটিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা, সিএমপির ১২ নির্দেশনা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
ঈদের ছুটিতে নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নগরীতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেওয়া হয়েছে ১২ দফা নির্দেশনা।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যেই অনেকে নগরী ছাড়তে শুরু করেছেন। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে আরও ফাঁকা থাকবে নগরী। ওই সময়ে সক্রিয় হতে পারে অপরাধী চক্র। এসব মাথায় সিএমপি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। অপরাধ ঠেকাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে পুলিশ।
সিএমপির প্রাধান্য পাচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ ভবন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি, ঈদগাহ মাঠ, বিপণীবিতান, মার্কেট, ব্যাংক এটিএম বুথ এবং বাসাবাড়ি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিবির কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।
সিএমপির সূত্র জানায়, বাসার নিরাপত্তায় দরজায় বেশি তালার ব্যবহার করা, নগদ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেমের মতো প্রতিরোধমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া, আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, নতুন নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তাকর্মীদের এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করা, সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানাকে জানানো ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছুটির সময়ে ব্যাংক এবং স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে বা সিঁধ কেটে চুরি-ডাকাতির আশঙ্কা থাকে। এই চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে নিরাপত্তাকর্মীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় প্রাইভেট সিকিউরিটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাতে মোবাইল পেট্রলগুলোকে হুটার বাজিয়ে টহল দিতে হবে। চেকপোস্ট চলাকালীন সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ছুটিকালীন বেপরোয়া চলাচলকারী যানবাহনের চালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিএমপির এডিসি (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, ঈদের ছুটিতে নগরীতে যাতে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটতে না পারে সেজন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করা এবং প্রতিদিন এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে তল্লাশি চৌকি পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে তিনজন আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।