ভুল চিকিৎসায় শিশুর পায়ে পচন, বিচার চেয়ে অভিযোগ
বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
বেলাবতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার কারণে রৌজা নামে ১৪ মাসের এক শিশুর পায়ে পচন ধরেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে ওই শিশুটি ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ভুল চিকিৎসার বিচার চেয়ে শিশুটির বাবা বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বেলাব থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শিশুটি উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের ধুকুন্দি প্রধান বাড়ির তোফাজ্জল প্রধানের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারৈচা জেনারেল হাসপাতালে গত ২৭ মার্চ রৌজাকে ঠান্ডাজনিত কারণে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. সিফাত উল্লাহ শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে বলে জানান। পরে শিশুটির পায়ে কেনোলা পরানো হয়। কয়েক দিন পরেই শিশুটির কেনোলার জায়গায় পচন ধরে। দিন দিন পচনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
বর্তমানে শিশুটি চার দিন ধরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. রোমানা পারভীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির পচন ধরা পায়ে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে।
তোফাজ্জল বলেন, ডাক্তার বলেছেন প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে। আমি বেলাব থানায় ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
বারৈচা জেনারেল প্রাাইভেট হাসপাতালের মালিক পক্ষের একজন আমজাত হোসেন বলেন, কেনোলা করার পর বাচ্চা সম্ভবত নাড়াচাড়া করার কারণে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। তবে কোন নার্স এই কেনোলা করেছে আমরা জানি না। বাচ্চাটির যেহেতু সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাদের উচিত ছিল আমাদের কাছে আসা কিন্তু তারা আসেননি।
বারৈচা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার সিফাত উল্লাহ বলেন, শিশুটির আমি চিকিৎসা করেছি এটা সত্য। নিউমোনিয়া হওয়ায় শিশুটির পায়ে কেনোলা করা হয়ছিল কিন্তু কোন নার্স কেনোলা করেছে এটা আমার জানা নেই।
বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তানজিনা আফরিন বলেন, এ ব্যাপারে আমি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেব।
বেলাব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, আমরা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগগিরই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে গিয়ে ওই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করব।