Logo
Logo
×

সারাদেশ

জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা শিক্ষকের পকেটে

Icon

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম

জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা শিক্ষকের পকেটে

শিক্ষার্থীদের সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলার ১০টি বিদ্যালয়ে পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনের (পিবিজিএসআই) প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন স্কুল এ অনুদান পাবে, তা নির্ধারণ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এর মধ্যে উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০ জন অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীর নামে ৫ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

জানা গেছে, বরাদ্দের এ টাকা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ২০ জন অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীকে বাছাই করেন এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের বিকাশ অথবা নগদ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম ও স্কুলের অন্য শিক্ষকরা মিলে হতদরিদ্র পরিবারের এসব শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করলে শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরিবর্তে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে দেবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জানান, ৫ হাজার টাকার মধ্যে তিনি একটি টাকাও পাননি। এমনকি তার মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট স্কুলের একজন শিক্ষকের নম্বর দেওয়া আছে।  অনুদানের টাকা সেই অ্যাকাউন্টের জমা হয়েছে। ‘

৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের কথামতো মোবাইল নিয়ে আমার ছেলে স্কুলে যায় শিক্ষকরা জোর করে পিন নম্বর নিয়ে নেয় এবং পরে টাকা বের করে এসএমএস ডিলেট করে দেয়। অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে পরে যোগাযোগ করব। 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথাও বলেছি পরে কি হলো আমার জানা নেই।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিআর সারোয়ার বলেন, এমনটা হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম