প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় চাকরি করার পর ৩৭ কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করলেন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) কর্তৃপক্ষ। ভুয়া কাগজপত্রে হাইকোর্টে ডিভিশনে রিট মামলা করার পর কেসিসির মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশনায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেসিসির ভারপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম।
জানা গেছে, চাকরি স্থায়ীকরণে গত বছর ২০ মার্চ করপোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের স্প্রেম্যান মো. বাচ্চু শেখের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে ডিভিশনে রিট মামলা করা হয়। রিট মামলার ওকালতনামায় ৩৭ জন মাস্টাররোল কর্মচারী স্বাক্ষর করেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম যুগান্তরকে মঙ্গলবার বিকালে জানান, হাইকোর্টে কেসিসির ভুয়া কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে। যার কারণে কেসিসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। মেয়রের নির্দেশেই তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে তারা চাকরি করছিল কেসিসিতে। সোমবার থেকে তাদের অব্যাহতির এই আদেশ কার্যকর হয়েছে।
চাকরিচ্যুতরা হলেন-করপোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের স্প্রেম্যান মো. বাচ্চু শেখ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নিকমল মল্লিক, মো. মনিরুজ্জামান, মো. কুদ্দুস শেখ, মো. লিয়াকত শেখ, মো. আক্কাস, মো. মুজিবর ও মো. বাবুল হাওলাদার। পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. বেল্লাল শেখ, প্রলাদ, রুস্তম খা, মমতাজ বেগম, মো. জাকারিয়া হোসেন, খান মনিরুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. শহিদুল ইসলাম ও মনিরুল শেখ। অফিস সহায়ক আজিজুল শিকদার ও শ্রমিক কালাম ফকির। পূর্ত বিভাগের ক্লিনার মো. কোরবান আলী, মো. শাহজাহান, মো. ইউসুফ হাওলাদার, আশরাফুল ইসলাম, মো. জাফর, খান ইসমাইল হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. নাসির, মোজাম গাজী, মোতাবেল আলী ও হেলপার আইয়ুব আলী। বিদ্যুৎ শাখার সোনা দাস। নিরাপত্তা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী রাসেল বিশ্বাস, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান শেখ, নাসির উদ্দিন ও শেখ আবু জাফর।