গোপালগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার সময় আটক এক ভুয়া পরীক্ষার্থী ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার আপর দুই সহযোগীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে ওই তিনজনকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়।
ভুয়া পরীক্ষার্থীরা হলো- জেলার মুকসুদপুর উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে মো. আরমান মোল্লার, বহুগ্রাম গ্রামের কেশব সরকারের ছেলে ও আসল পরীক্ষার্থী প্রদীপ সরকার ও প্রক্সি-কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এবং উজানী বিকেবি ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদুল ইসলাম।
গোপালগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রের ২০৪ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী শনাক্তকরণের সময় ৫৭১০২৯৮ রোল নম্বরের প্রার্থীকে সন্দেহ হয়। এ সময় প্রবেশপত্র যাচাই ও চেহারার সঙ্গে ছবির অমিল পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে তার নাম মো. আরমান মোল্লা। প্রদীপ সরকারের পরিবর্তে সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। আরমানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রের বাইরে থেকে প্রদীপ ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তারা তিনজন জড়িত বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে আরমান মোল্লা। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।