চমেক হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতিতে, দুর্ভোগ চরমে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের মতো বুধবারও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পাঁচ শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতি পালন করায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ কারণে রোগীর স্বজনদের যেমন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে, তেমনি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ার শঙ্কায় অনেকেই বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন।
রোববার থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মো. লোকমান বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করায় ২৪ ঘণ্টার আগে চিকিৎসকদের দেখা মিলছে না। জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসকদের পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে গুরুতর এবং জটিল রোগীরা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান যুগান্তরকে বলেন, পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক যদি সেবা প্রদানের বাইরে থাকে তাহলে এত বড় একটি হাসপাতাল পরিচালনা করা কষ্টকর। বর্তমানে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এভাবে কতদিন চালানো যাবে তা বলতে পারছি না।
জানা গেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ আন্দোলন ২৮ মার্চ দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।
চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুকেশ রঞ্জন দে জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের কর্মবিরতি চলছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা দেখা করবেন। তিনি সম্মত হলে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যৌথভাবে ৪টি দাবি দিয়েছেন। এর মধ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে। ১২টি প্রাইভেট ইন্সটিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।