চুনারুঘাটে পুলিশের ওপর হামলায় আহত ৪, দুই নারীসহ গ্রেফতার ৫
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নরপতি ফুলবাড়ি এলাকায় মারামারি ও শ্লীলতাহানির মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আসামির পরিবারের সদস্যদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আসামি জাকির মিয়া পালিয়ে যায়।
আহতরা হলেন- চুনারুঘাট থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন (৩৮), এএসআই মোফাজ্জল হোসেন (৪২), কনস্টেবল জেবু (৩০) ও গ্রাম পুলিশ জবরু মিয়া (৩৭)। আহতদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত এএসআই মোফাজ্জল হোসেনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।
এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ী এলাকার মৃত নুর আলীর ছেলে রফিক মিয়া (৪৫), ও তার ছেলে রুমেন মিয়া (১৯), হানিফ উল্যার মেয়ে রোকেয়া খাতুন (৪০), সেলিম মিয়ার স্ত্রী আঙ্গুরা খাতুন (২০), নরপতি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৭)।
জানা যায়, চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের নরপতি ফুলবাড়ি এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মারামারি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা হয়। মামলা দায়েরের পর জাকির মিয়ার বাড়িতে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাকির পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ থানার উদ্দেশে রওনা দিলে জাকিরের বসতবাড়ি থেকে ৫০০ গজ দক্ষিণে মো. আবুল কাশেম মেম্বারের বাড়ির পাশে পৌঁছলে প্রায় ২০-২৫ জনের একদল লোক পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।এ সময় হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, কাঠের রুলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশকে মারপিট শুরু করে। এতে ৩ পুলিশসহ চারজন আহত হন। খবর পেয়ে থানার ডিউটিরত এসআই আলাওল হকসহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেন এবং আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ মারপিটের অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০-১২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।