রাঙ্গাবালীতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণ
ছাদ ঢালাই শেষ হতেই একাংশে ধস
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
![ছাদ ঢালাই শেষ হতেই একাংশে ধস](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/03/15/image-785081-1710517353.jpg)
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। ছাদ ঢালাই দেওয়া যখন শেষ প্রায়। এ সময় হঠাৎ ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর নির্মাণাধীন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ঘটে। এতে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্বল সেন্টারিং (কাঠ-বাঁশের ঠেকনা) দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকরা সামনের বারান্দার ছাদ ঢালাই দেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছে। অন্য কোনো কারণ নেই।
তবে কেন কী কারণে এ ঘটনাটি ঘটল- তা জানতে সেদিন রাতেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ের তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) অধীনে এ নির্মাণকাজ চললেও সন্ধ্যায় যখন বারান্দার ছাদ ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল- তখন ওই বিভাগের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। অথচ এ কাজটি তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে নিযুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার নাঈম হোসেন নামের ওই উপসহকারী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া না দেওয়ায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী) রাহাত হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের পুরো ছাদটি ১০ হাজার স্কয়ার ফুট। এর মধ্যে বারান্দার অংশটুকু শুধু ২২ বাই ৮ ফুট (১৭৬ স্কয়ার ফুট)। আমরা সবাই যখন ইফতারি করতে যাই। তখন আমাদের না বলেই বারান্দার সেই অংশটুকু ঢালাই দেওয়া শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় সেন্টারিং ভালোভাবে না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করিছ যে, দুর্বল সেন্টারিংয়ের কারণে সামনের বারান্দার অংশটির ছাদ ধসে পড়ে।