Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৫, আইসিইউতে ৭

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, গাজীপুর

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:১০ পিএম

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৫, আইসিইউতে ৭

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই এলাকার টপস্টার পোশাক কারখানার পাশে শফিক খানের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। 

আহতরা হলেন- নাদিম (২২), নিরব (১০), মিরাজ (১৮), তারেক রহমান (১৮), মোন্নাফ (১৭), সোলায়মান (৯), লালন (২৩), নয়ন (৮), শিল্পী (৩০), আরিফুল ইসলাম (২১), সুমন (২৬), মাইদুল ইসলাম (২৭),  সফুরা (৯), রাব্বি (১৪), উর্মিতা (২২), সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (২৯), আরিফ (৪০), রতনা বেগম (৪০), তাইয়েবা (৩), মুনসুর আলী (৩০), নূর নবী (৩), রহিমা (৩), কবির (৩০), খাদিজা (৪৫), তাওহীদ (৭), সোলেমান (৪০), মশিউর (২২) এবং লাদেন (২২)। বাকিদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। দগ্ধদের মধ্যে দুই শিশুসহ ৭ জন আইসিইউতে ভর্তি আছেন।

কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. আশরাফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কাউকে পাইনি। তবে শুনেছি অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে সূত্রপাত হয়। তথ্য সংগ্রহ করছি পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে ঠিক কতজন দগ্ধ হয়েছেন।

কোনাবাড়ী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, ইফতারের আগে তিনজন দগ্ধ রোগী এসেছিলেন, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

কোনাবাড়ী পপুলার হসপিটালের স্টাফ জাহিদ জানান, সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণের দগ্ধ অন্তত ১৫-২০ জনের মতো রোগী এসেছিলেন। তাদের সবার শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। পরে তাদের গেট থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কোনাবাড়ী নিউ সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি মোনায়েম খান বলেন, যারা এসেছিলেন তাদের প্রায় ৭০ ভাগের বেশি অংশ পুড়ে গেছে। আমরা তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ৭ শিশুসহ দগ্ধ ৩৫ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত না। এদের মধ্যে ৮ জনের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম