রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের ওপর স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, শহরের রশিদপুর গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধ গুল মাহমুদকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রেরণ করেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান জীবন ও ফাহমিদুল ইসলাম ফাহাদ রোগীকে মৃত দেখতে পান। মৃত বলার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও হট্টগোল করেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান জীবন ও ফাহমিদুল ইসলাম ফাহাদ এবং অন্য ওয়ার্ড থেকে আসা ডা. মো. তুষার আহমেদকে মারধর করেন রোগীর স্বজনরা। এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান।
জামালপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীনুর রহমান শাহীন জানান, ভোররাতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকের অবহেলায় গুল মাহমুদ মারা যান। এ ঘটনায় স্বজনরা উত্তেজিত হলে গুল মাহমুদের মৃতদেহ ৮ ঘণ্টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আটকে রাখে। পরে গুল মাহমুদের বড় ছেলে হায়দার আলীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলে হাসপাতাল থেকে দুপুরে মৃতদেহের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে যায়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।