দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিন্ডিকেটটি এক কেজি এলাচে ১ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
রমজান সামনে রেখে বাজারে ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত অভিযান পরিচালনা করে বেশি দামে এলাচ বিক্রির তথ্য উদঘাটন করেন। এদিকে কারসাজি হাতেনাতে ধরায় উলটো এক অসাধু ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটকে ধমক দেন। এরপর নানা অনিয়মের অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামে এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এবি ট্রেডার্সকে অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির জন্য ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবি ট্রেডার্সের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- তাদের প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১ হাজার ৪৫০ টাকা পড়েছে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ লাভ করলে দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। প্রতিষ্ঠানটি এলাচ বিক্রি করছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রি করায় আর এম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং নাবিল গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, কয়েক দিন আগে এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারটি স্থিতিশীল রয়েছে। আসন্ন রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটোই স্থিতিশীল থাকে সে উদ্দেশ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। আরএম এন্টারপ্রাইজ এবং নাবিল গ্রুপ- কারো কাছেই কোনো ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ সংরক্ষিত ছিল না। তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে।