সিলেট নগরীকে হকারমুক্ত রাখার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ভ্রাম্যমাণ হকার পুনর্বাসন কার্যক্রম। রোববার সকালে নগরীর লালদিঘী মাঠে হকার পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
পর্যায়ক্রমে সব হকারকে লালদিঘী মাঠে নিয়ে আসার পাশাপাশি তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা পূরণের আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে হকার নেতারা মেয়রের ডাকে সাড়া দিয়ে লালদিঘী মাঠে এলেও এখানে তাদের ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সকালে লালদিঘীর পাড়ের মাঠে অস্থায়ী মার্কেটে পুনর্বাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট ব্যবসা করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করেন। তারা চুরি-ডাকাতি করেন না। এজন্য তাদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তিনি বলেন, হকাররা শুধু হকার না, তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, তারা আমাদের ভাই, আমাদের পরিজন তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর শান্তুনু দত্ত শন্তু, আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রকিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিটি কাউন্সিলর তোফায়েল আহমদ শেপুল, ফজলে রাব্বি মাসুম, জয়নাল আবেদীন, রুহেনা আক্তার মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে সিটি মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মার্কেট পরিদর্শন এবং কয়েকটি দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করেন।
এর আগে ২০১২ সালে তৎকালীন মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সিলেট নগরীর লালদিঘীরপাড়ে সিসিকের মালিকানাধীন জরাজীর্ণ মার্কেট ভেঙে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলেও বেশিদিন টেকেনি। ২০২১ সালে লটারির মাধ্যমে সহস্রাধিক হকারকে পুনরায় পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মাস দুয়েকের মাথায় ব্যর্থ হন তিনিও। এমতাবস্থায় হকারদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন মেয়র এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। তাদের পুনর্বাসন স্থায়ী করতে তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।