ভোটার উপস্থিতি কম, পাড়া-মহল্লায় আটকে দেওয়ার অভিযোগ
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোগ গ্রহণ শুরু। কিন্তু নগরীর সব কটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে পাড়া মহল্লায় ভোটার এবং কর্মী সমর্থকদেরকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগ, অনেক কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন নগরীর কোটবাড়ি এলাকার গভর্মেনন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। দুপুর দুইটা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ২০% ভোট কাস্টিং হতে দেখা গেছে। নগরীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও তাদেরকে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
নগরীর নেউরা এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ঘোড়া প্রতীকের দুই কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। একই এলাকায় আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। নগরীর পদুয়ার বাজার এলাকায় হাজী আকরাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় আশপাশে বেশ কিছু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি মহল তাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিচ্ছে না।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই আমার কর্মী সমর্থকদেরকে পাড়ায় মহল্লায় আটকে দেওয়া হয়েছে। আমার ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারছে না। তাদেরকে প্রতিটি অলিগলিতে আটকে দিয়েছে বাস প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা। তারা বিপুলসংখ্যক বহিরাগত ক্যাডার এনে ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তার করছে। আমার দুজন কর্মীকে গুলিবিদ্ধ করেছে একজনকে ছুরিকাঘাত করেছে। তিনি বলেন ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার অনেক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বাস প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের আশপাশের এলাকা দখল করে রেখেছে। তাদের ভয়ে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারছে না। তিনি বলেন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার বিপরীত হয়েছে। কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠু দেখানো হলেও জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
দুজনেরই অভিযোগ বাস প্রতীকের প্রার্থী সূচনা বাহারের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন সূচনা।