৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
![৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/03/08/image-782495-1709902121.jpg)
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দি ইউনিয়ন ও ধুলসুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে তীর সংরক্ষণে জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে। এ কাজ বাস্তবায়ন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী মনে করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন।
বুধবার বিকালে তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। এ সময় হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সায়েদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নুর এ আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাসার সবুজ, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এমপি টুলু বলেন, এ কাজটি বাস্তবায়ন হলে ভাঙনকবলিত হরিরামপুর উপজেলা পদ্মার ছোবল থেকে রক্ষা পাবে। আমার নির্বাচনি ইশতেহারে প্রথম প্রায়োরিটি ছিল হরিরামপুর উপজেলাকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা। সেটার জন্য আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি আমার সময়কালের মধ্যেই এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ সম্পন্ন হবে।
এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, হরিরামপুর উপজেলা পদ্মা নদীর বাম তীরে অবস্থিত। পদ্মা নদী এ উপজেলার ২২ কিলোমিটারজুড়ে বহমান। এ উপজেলাকে রক্ষার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে জিওব্যাগ ও ব্লক ফেলে ভাঙন রক্ষার কাজ করেছি। এসব কাজ না হলে এতদিনে উপজেলা পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যেত।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার হারুকান্দি থেকে ধুলসুরা ইউনিয়নের সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীতীর রক্ষার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনী। তারা প্রতি মিটারে পাঁচটি করে এই জিওব্যাগ ফেলছে। ফেলার কাজ শেষ হলে তাদের ডুবুরি দল দিয়ে দেখবেন যে কোথাও ফাঁকা আছে কিনা। এ কাজ শেষ হবে বর্ষার আগেই। এ বছর আমরা ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে হারুকান্দি থেকে ধুলসুরা ইউনিয়নের সাড়ে তিন কিলোমিটার কাজ করব। আশা করি বর্ষার আগেই এ কাজ শেষ হবে।
এর আগে, ২০১৬ সালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে হারুকান্দি গ্রাম পর্যন্ত ৮.৮ কিলোমিটার, ২০২২ সালে ধুলাসুরা এলাকার ১.২ কিলোমিটার, গোপীনাথপুর গ্রামে ৯২৫ মিটার নদী রক্ষার জন্য জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।