Logo
Logo
×

সারাদেশ

বেইলি রোডে আগুন 

মেয়ের লাশ ভিক্ষা চাইলেন সেই সাংবাদিকের মা

Icon

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম

মেয়ের লাশ ভিক্ষা চাইলেন সেই সাংবাদিকের মা

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) মা বিউটি খাতুন অপলক দৃষ্টে চেয়ে আছেন। তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন তার দুই মেয়ে ও আত্মীয়সহ প্রতিবেশীরা। বিউটি খাতুন একটু পরপর চিৎকার করে বলছেন, আমার সোনাকে আমার বুকে দেন না কেন? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালাম, আমার মেয়েকে ভিক্ষা চাই। ও আমার বড় সন্তান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করি, আমার সোনাকে আমার কাছে এনে দেন। কুষ্টিয়ার খোকসার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামে রোববার দুপুরে গেলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমন আকুতি জানান বিউটি বেগম। এদিকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে যে নারী সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে তার পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির নিকটাত্মীয় ও বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালে বৃষ্টি খাতুন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিকে ভর্তি হন। ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে দর্শন সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে। বৃষ্টি খাতুন বেশ মেধাবী ছিলেন। উচ্চ স্বপ্ন ছিল তার। বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি করবেন বলে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।

দ্য রিপোর্টের নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর শুরু হয় শোকের মাতম। এলাকাবাসীসহ আত্মীয়স্বজন সবাই বাড়িতে ভিড় করছেন। বৃষ্টির মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন প্রতিবেশীরা। বৃষ্টির মা বিউটি বেগম ও ছোট দুই বোন একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ঝর্ণা ও দশম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা খাতুন গ্রামের বাড়িতেই থাকে। বাবা সাবলুল আলম সবুজ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার তিনটিই কন্যাসন্তান।

বৃষ্টির চাচা জোযাদ আলী জানান, গত ঈদেও বৃষ্টি বাড়ি এসে সবার সঙ্গে হইহুল্লোড় করে গেল। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ করেছে মেয়েটা। আগুনে পুড়ে মরল! এখন শুনছি ওর লাশ ফেরত পেতে ডিএনএ টেস্টে পাশ করতে হবে পরিবারকে।

বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদ বৃষ্টি খাতুনের অকাল মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। আজ পরিচয় জটিলতায় লাশ পেতে তার পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম