হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ২০২০ সালে রিয়াজ নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার প্রধান আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে সেনেরচর চরদুপুরিয়া মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল বেপারি ওরফে মন্টু বেপারি (৫৩) সেনেরচর ইউনিয়নের ভোলাই মুন্সীকান্দি গ্রামের আরশেদ আলী বেপারির ছেলে।
নিহত মিন্টু বেপারির চাচাতো ভাই মামুন বেপারি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোলাই মুন্সীকান্দি গ্রামের মন্টু বেপারির সঙ্গে সাকিম আলী মাদবরকান্দি গ্রামের এমদাদ মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তিন বছর আগেও দুই পক্ষের শত্রুতার জেরে রিয়াজ নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মন্টু বেপারি।
শুক্রবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে মন্টু বেপারি ও তার ভাতিজা বাবু বেপারি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা সাকিম আলী মাদবরকান্দি এলাকায় এলে এমদাদ মাদবর ও তার লোকজন গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে আত্মরক্ষার জন্য পার্শ্ববর্তী মালেক মাদবরের ঘরে ঢোকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মালেক মাদবরের ঘরে ঢুকে তাদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিন্টু বেপারিকে মৃত ঘোষণা করে। অপর গুরুতর আহত বাবু বেপারির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত মিন্টু বেপারির চাচাতো ভাই মামুন বেপারি ও ভাগিনা ফারুক সরদার বলেন, এমদাদ মাদবর ও দেলোয়ার মাদবরের লোকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আহত বাবুর হাতের কয়েকটি আঙুল পড়ে গেছে। তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি।