Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ নিয়ে সিএমপিতে তোলপাড়

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৪ এএম

সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ নিয়ে সিএমপিতে তোলপাড়

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা উত্তর-দক্ষিণ (ডিবি) পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনসহ একটি টিমের বিরুদ্ধে একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে।

এ ঘটনায় সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর-দক্ষিণ) ডিসি মোছা. সাদিরা খাতুন।

এছাড়াও শুক্রবার সকালে মনসুরাবাদস্থ ডিবি অফিসে ছুটে যান সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) আবদুল মান্নান মিয়া। অতিরিক্ত কমিশনার সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ নিয়ে ডিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার যুগান্তরে ‘ফ্রিল্যান্সারকে মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয়: চট্টগ্রামে সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেন ডিবি পরিদর্শক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত সোমবার আবু বকর সিদ্দিকী নামে একজন ফিল্যান্সারের কাছ থেকে ক্রসফায়ার, মানি লন্ডারিং ও সাইবার ক্রাইমের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই সংবাদ প্রকাশের পর সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) আবদুল মান্নান মিয়া মনুসরাবাদ ডিবি অফিসে যান। এ বিষয়ে ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিকে এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সারকে গ্রেফতারে ভূমিকা রাখা ফাহিম নামে পুলিশের এক সোর্সকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভিকটিম আবু বকর সিদ্দিকের বাইনান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬০ দশমিক ৪৫ ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা) হাতানোর হোতাদের একজন এই ফাহিম। তার সহায়তায় ডিবির পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন ও তার টিম এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে দুইটি অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেই ব্যাংক হিসাবধারীর পরিচয় মিলেছে। ওই দুই ব্যাংক হিসাব একজনেরই। তার মো. জাহেদ হোসেন স্বাধীন। তদন্ত কমিটি তার ব্যাপারেও তদন্ত করছেন।

এদিকে ভিকটিমের পরিবারকে ঘটনা ধামাচাপা দিকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ডিবি (উত্তর) পুলিশের টিম-২১ এর টিম লিডার রুহুল আমিন এক সময় বর্তমান সিএমপির এক শীর্ষ কর্মকর্তার গাড়িচালক ছিলেন। সেই শীর্ষ কর্মকর্তার গাড়ি চালকের পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছিলেন ডিবি পরিদর্শক রুহুল আমিন।

গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর-দক্ষিণ) ডিসি মোছা. সাদিরা খাতুন যুগান্তরকে বলেন, ডিবির একটি টিমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এ ব্যাপারে আমাদের ইন্টারনাল (অভ্যন্তরীণ) তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত ভিকটিম কোনো অভিযোগ দেননি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম