ধূমপানের প্রতিবাদ করায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
ফতুল্লায় সিগারেট খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ফতুল্লার কুতুবপুর ক্যানেলপাড়ের এ হত্যাকাণ্ড কিশোর গ্যাংয়ের হামলা বলে ধামাচাপার চেষ্টা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। তার হুমকি-ধমকিতে নিহতের পরিবার লাশ দাফনের চেষ্টা করে। তবে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত সালমান (১৭) খুলনার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা গ্রামের ভ্যান চালক মোফাজ্জল মিয়া ও খুকু বেগমের ছেলে। তারা সপরিবারে ফতুল্লার কুতুবপুর চিতাশাল কুসুমবাগে শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
নিহতের মা খুকু বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ক্যানেলপাড় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাঁড়িয়ে ছিল। তখন জাহিদ নামে এক ছেলে সিগারেট ধরায়। সালমান তাকে দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলে। এরপর জাহিদ দলবল নিয়ে এসে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আহত সালমান সেখান থেকে কোনোমতো বাসায় এসে পড়ে যায়। রাত ৪টার দিকে অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, সকালে স্থানীয় জামান মেম্বার এসে বলেন তোমাদের ছেলে নেশাপানি করে মারা গেছে। এ নিয়ে থানা পুলিশ করলে লাশটা পুলিশ নিয়ে যাবে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কাটাছেঁড়া করবে। ছেলে মারা গেছে, লাশটা দাফন করে ফেল। পরে যাদের সঙ্গে মারামারি হইছে তাদের ডেকে মীমাংসা করে দিব। তখন আমার স্বামী দাফন কাফনের টাকা তুলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তখন পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য জামান বলেন, এক ছেলে ফোন করে জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে ক্যানেলপাড় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে পোলাপান ঝগড়া করেছে। এতে মারধরে একজন মারা গেছে। নিহতের বাবাকে বলেছি আপনে ইচ্ছে করলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে পারেন। আমি সহযোগিতা করব। আর যদি তা না চান তাহলে মামলা করতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলিনি। আর তাদের বাসায়ও যাইনি। থানা পুলিশকেও সংবাদ দিইনি।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।