শিশুদের পার্ক ও লাইব্রেরি বন্ধ করলেন ইউএনও
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা চত্বরে দীর্ঘদিন উন্মুক্ত থাকা শিশুদের জন্য নির্মিত একটি পার্ক ও সেখানেই থাকা একটি উন্মুক্ত মিনি লাইব্রেরি বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন।
সরকারি ব্যয়ে তার পূর্ববর্তী ইউএনও নাহিদ হাসান খান ওই পার্কে সবার জন্য একটি ছোট আকারের লাইব্রেরি ও তারও আগের ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান শিশুদের জন্য এই পার্ক নির্মাণ করেছিলেন। হঠাৎ এই পার্ক ও লাইব্ররি বন্ধ করে দেওয়ায় সমালোচনার শুরু হয়েছ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউএনওর বাসভবনের উল্টো পাশে উপজেলা চত্বরের মাঠের একাংশে বৃক্ষের ছায়াঘেরা জায়গাজুড়ে নির্মিত একটি পার্ক। সেখানে শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে পাঠকদের জন্য একটি ছোট্ট লাইব্রেরি। সেখানে সাজানো রয়েছে নানান ধরনের বই। এর পাশেই গাছের নিচে ছায়াযুক্ত একটি বসার স্থান।
মূলত পাঠকরা লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে বসেই বই ও দৈনিক পত্রিকা পাঠ করতে পারতেন। পার্কে উন্মুক্ত লাইব্রেরি চালুর পরে সর্বমহলে প্রশংসিত হয় বিষয়টি। নাহিদ হাসানের বদলির কারণে সম্প্রতি যোগদান করেন মোহাম্মদ আরাফাত রহমান। যোগদানের পরেই তিনি সরকারি ব্যয়ে নির্মিত উন্মুক্ত এই পার্ক বন্ধ করায় স্থানীয় শিশুরা বিনোদন ও বই পড়ুয়া পাঠকরা আর সেখানে ঢুকতেই পারছেন না।
২১ ফেব্রুয়ারি বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে যুগান্তরের প্রতিবেদক ওই পার্ক ও লাইব্রেরি চত্বরে ঢুকতে গেলে সেখানে কর্মরত আনসার সদস্যরা ইউএনওর নিষেধ আছে বলে প্রবেশে বাধা দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাগান্বিত হয়ে যান বর্তমান ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। তিনি যুগান্তর প্রতিবেককে বলেন, আপনি কত বড় সাংবাদিক হয়েছেন; যা পারেন লেখেন।
এরপরও যুগান্তর প্রতিবেদক তার কাছে পার্ক ও উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাসার সামনেই এই পার্ক, আমার পরিবার এখানেই থাকে। এখানে কেউ বই পড়তে আসে না, আসে বেহায়াপনা করতে। তবে পার্ক বা লাইব্রেরি বন্ধ করা হয়নি। আগতদের ইনটেনশন বুঝে পার্ক ও লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
আগতদের ইনটেনশন কিভাবে বোঝা সম্ভব? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন।