পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুনসহ সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার গলাচিপা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাব্বুনিয়া গ্রামের জাহিদ সরদার এ মামলা করেন। এতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সবুজ ছায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান বাশেদ সরদারের শনিবারের জনসংযোগে হামলার অভিযোগ আনা হয়।

ওইদিনই একই আদালতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে বাশেদ সরদারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। উপজেলা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই পালটাপালটি এ মামলা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

এদিকে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি করে মঙ্গলবার উপজেলা সদরের বাহেরচর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে করা বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন আহম্মেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন শোভন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুল আকন, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু হাওলাদার ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শিবলী প্রমুখ।