পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা, আহত ২
যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
তাফসির মাহফিল শেষে সুনামগঞ্জে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করা হয়েছে। এই ঘনটায় আত্বরক্ষার্তে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড গ্যাস ছুঁড়ে।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় জেলার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্দ্র কেন্দ্রে ওই হামলা ও ভাঙচুর এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করার ঘটনাটি ঘটেছে।
সোমবার রাতে থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, হিলফুল ফজল পরিষদ নামে একটি সংগঠন কোনো রকম প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দুইি দিনব্যাপী তাফসির মাহফিলের আয়োজন করে। উপজেলার বাদাঘাট বাজার সংলগ্ন বাদাঘাট মাদ্রাসা মাঠে প্রথম দিন সোমবার বাদ জোহর তাফসির মাহফিল শুরু হয়ে রাত ১২টা অবধি মাহফিল সমাপ্ত হয়।
এদিকে আলোচিত শিশু বক্তা মুফতি রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তাফসির মাহফিলে আসতে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাহফিল শেষে আম জনতা ও মুসল্লীগণের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এমন গুজব রটিয়ে উক্তেজনা তৈরি করা হয়।
এর পর ৬ থেকে ৭ শতাধিক আম জনতা ও মুসল্লিগণ সংঘবদ্ধ হয়ে রাত সাড়ে ১২টায় বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চারপাশে জড়ো হয়ে অতর্কিত ভাবে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে আহত করে।
খবর পেয়ে রাতেই সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মো. নাসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তাহিরপুর থানার (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, রফিবুল ইসলাম মাদানীকে পুলিশ আটক করেনি, তিনি তাফসির মাহফিলে আসেননি এটি মুলত গুজব রটানো হয়ে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া চলমান রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ যুগান্তরকে জানান, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলায় সম্পৃক্ত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।