পরীক্ষা দিতে না পারায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ পিএম
ভোলার লালমোহনে চলমান দাখিল পরীক্ষায় ৩ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার লালমোহন থানায় ৩ পরীক্ষার্থীর পক্ষ থেকে এই মামলা করেছেন বাউরিয়া গ্রামের এক ছাত্রীর দাদা মোহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে লালমোহন মাদ্রাসাকেন্দ্র কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসেন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ৩ ছাত্রী। তারা হলেন মুনতাহা, সোনিয়া আক্তার ও মোসা. সালমা আক্তার।
তারা জানান, পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. রুহুল আমিনের চাহিদা মতো রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ ও প্রবেশপত্রের ফিসহ মোট ১২ হাজার টাকা করে দিলেও তাদের নামে রেজিস্ট্রেশন ও অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। পরে ওই শিক্ষার্থীদের হাতে অন্য তিন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় বসতে কেন্দ্রে পাঠান অধ্যক্ষ। তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে অন্যের নামে পরীক্ষায় বসলে প্রক্সি হবে এবং ধরা পড়লে জেল-জরিমানা হবে-এমন শঙ্কায় কেন্দ্রে ঢোকেননি। এমন ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. রুহুল আমিন ওই শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন। এই ৩ ছাত্রীর হাতে যাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হয়েছে সেই পরীক্ষার্থীদেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে একদিন পর অধ্যক্ষ মাও. রুহুল আমিন ও অফিস সহকারী মো. ওবায়েদের বিরুদ্ধে শুক্রবার লালমোহন থানায় প্রতারণার মামলা করেন প্রতারণার শিকার ছাত্রী মুনতাহার দাদা।
লালমোহন থানার ওসি মাহবুব-উল-আলম জানান, করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।