মাদ্রাসাশিক্ষককে হত্যার পর বালুচাপা, প্রেমিকাসহ আটক ৩
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০ পিএম
ভূঞাপুরে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে শিক্ষককে ডেকে নিয়ে হত্যার পর বালুচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল হক (৫৮) উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং পলশিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার সারপলশিয়া এলাকায় অভিযুক্ত জাহানারা ওরফে জয়নব বেগমের ঘরের পাশ থেকে বালুর নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- সারপলশিয়া এলাকার পরকীয়া প্রেমিকা জাহানারা বেগম (৩৮), তার স্বামী আব্দুল বারেক (৪৮) এবং একই এলাকার সবুরের ছেলে ফারুক (২৫)। আটককৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জাহানারা ওরফে জয়নব বেগমের সঙ্গে শিক্ষক আব্দুল হকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় তারা দুইজন মিলে এলাকায় সুদের ব্যবসা করতেন। এর মধ্যে বেশ কিছু টাকা পেতেন ওই শিক্ষক। এছাড়া তাদের সম্পর্কের কথা জয়নবের স্বামী ও তার পরিবার জেনে যাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়। এর আগে ওই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর জয়নব বেগমের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশের সহায়তায় জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালুর নিচ থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল হকের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বাড়ির সামনেই বালুচাপা দিয়ে রাখা হয়। জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ বলেন, শিক্ষক নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় জিডি করতে আসেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে জাহানারা ওরফে জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালুর নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যার ঘটনায় জয়নব, তার স্বামী এবং তাদের এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।