ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রির টাকায় ক্ষুধার্তদের আহার
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
![ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রির টাকায় ক্ষুধার্তদের আহার](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/02/15/image-774755-1708014896.jpg)
অন্যরকম ভালোবাসা দিবস পালন করেছেন ১৫ যুবক। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে ফুল বিক্রি করেছেন তারা। তবে পেটের দায়ে নয়, ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। ফুল বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষকে একবেলা আহার করানোই তাদের উদ্দেশ্য।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া সরকারি কলেজ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। তারা সবাই কলেজ শিক্ষার্থী। তাদের এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আনন্দ গরিব-সুবিধাবঞ্চিত ও অনাহারি মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ফুল বিক্রি করেছেন একদল যুবক। বুধবার দিনভর রামদিয়া সরকারি এসকে কলেজ গেটে ফুল বিক্রি করেন তারা। ফুল বিক্রির টাকা দিয়ে অনাহারি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেই তাদের এ উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলে রান্নার আয়োজন। দুপুর হলেই ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে এ খাবার বিতরণ করা হয়। ব্যতিক্রম এ কর্মকাণ্ডে প্রশংসায় ভাসছেন তারা।
উদ্যোক্তাদের একজন সোহাগ শরীফ বলেন, ‘আমি ২০২২ সালে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নিজের থেকে ব্যতিক্রম কিছু একটা করতে চাই। সেই বছর আমার এক ভাতিজা নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে গিয়ে কিছু ফুল কিনে এনে বিক্রি করি। ফুল বিক্রির টাকা দিয়ে কিছু সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে আহার করাই। এরপর আমি বিষয়টি আমার সহপাঠী ও কয়েকজন বড় ভাইকে জানাই এবং পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতা চাই। ২০২৩ সালে আমরা কয়েকজন যুবক মিলে ফুল বিক্রি করি। লাভের টাকা দিয়ে গরীব-অসহায় মানুষদের খাবার খাওয়াই। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আমার অসহায় মানুষের সঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করি। ২ শতাধিক অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের একবেলা খাবারের আয়োজন করি।
তিনি আরও জানান, কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায়ও খাবার বিতরণ করেছি। আগামীতেও আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যুবকরা হলেন- সোহাগ, আরমান, নাইম, ইসলাম পিয়াস, সোয়েব, মাহফুজ, রিয়াজ, বিলাস, রায়হান, সজিব, আব্দুল্লাহ, সানি, সম্পদ ও তুহিন প্রমুখ।