ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
গভীর নলকূপ স্থাপনে অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের বাধা
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
শহরের কমলাপুর এলাকায় অবস্থিত ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাপ্পু এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। এতে নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এ সময় কাজ বন্ধ রাখা হলেও পুনরায় গভীর রাতে কাজ করার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীরা ফের বাধা দেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ঠিকাদারের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় ঠিকাদার।
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী গভীর নলকূপের বোরিংয়ের গভীরতা ১ হাজার ৪০০ ফিট হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার ১ হাজার ৪০০ ফিট বোরিং গভীরতায় না গিয়ে ৯২০ ফিট গভীরতায় রাতের অন্ধকারে টিউবওয়েল স্থাপনের চেষ্টা করেন। এতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। পরে ঠিকাদারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার সময় শিক্ষার্থীদেরকে ভয় দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঠিকাদারের পক্ষ নেয়।
এ বিষয়ে মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. পাপ্পু বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী টিউবওয়েলের বোরিংয়ের গভীরতা ১ হাজার ৪০০ ফিট হওয়ার কথা থাকলেও ৯৯০ ফিটের কিছুটা বেশি যাওয়ার পর পাইপ ভেঙে যায়। এতে বোরিং জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমান বোরিং করা স্থানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সম্ভব। সেটা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা অযথা ঝামেলা করছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, নিয়মানুসারে কাজ না হলে আমি বিলে স্বাক্ষর করব না। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। জেলা শিক্ষা ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ৯৯০ ফিট যাওয়ার পর পাইপ ছিঁড়ে গিয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সম্ভব কি না সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হবে। মোট তিন জায়গায় এ পানি পরীক্ষা করা হবে, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।