মিয়ানমারের ভেতরে যুদ্ধের জেরে শুক্রবার আবারো উত্তেজনা ছড়িয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায়।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশে সীমান্ত পরিস্থিতি দুই দিন শান্ত ছিল। বৃহস্পতিবার ঘুমধুমের নয়াপাড়ায় একটি ‘রকেট লঞ্চার’ উদ্ধার হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেটি নিষ্ক্রিয় করার পর নয়াপাড়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। এর জের ধরে ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী এলাকায় শুক্রবারও গুলি এসে পড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। 

ঘটনাস্থলে থাকা বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কর্মকর্তা লে. কর্নেল আজিজ জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হচ্ছে। এর জের ধরে এপারে গুলি এসে পড়েছে।

২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা

এদিকে অস্ত্রসহ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিজিবি। এ সময় জব্দকৃত অস্ত্র, গুলিসহ ২৩ রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে ৩৪ বিজিবির নায়েক সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকালে মামলা করেছে বিজিবি। মামলার পর ২৩ আসামির পাশাপাশি ১২টি অস্ত্র ৮০০-এর বেশি গুলি এবং ম্যাগাজিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।