প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণ, চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
প্রবাসীর স্ত্রী কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে জোর করে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন প্রবাসীর স্ত্রীর বাবা।
মঙ্গলবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকি গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর বাবা মঙ্গলবার ওই ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেশী শাহিন, মালেক, নিপা আক্তার ও মোসা. বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
প্রবাসীর সঙ্গে ওই তরুণীর দুই বছর আগে বিয়ে হয়। প্রতিবেশী মালেক ফকিরের ছেলে শাহিন ফকির (৩০) প্রবাসীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে শাহিন ফকিরকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন প্রবাসীর শ্বশুর। এতে শাহিন আরও ক্ষিপ্ত হয়। পরে শাহিনের বাবা মালেক ফকির, মা নিপা আক্তার ও বোন মোসা. বেগমকে বুঝিয়ে বলেন, শাহিন যেন তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করে। শাহিন এতে আরও উত্তেজিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে বাইনচটকি রশিদ মেম্বারের পুকুরে প্রবাসীর স্ত্রী পানি আনতে যায়। শাহিন দেখতে পেয়ে তার দলবল নিয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে প্রবাসীর স্ত্রীকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
প্রবাসীর শ্বশুর বলেন, আমার মেয়েকে শাহিন তার দলবল নিয়ে অপহরণ করেছে। শাহিনের বাবা-মা এতে সহযোগিতা করেছে। আমার মেয়েকে সাত দিনেও সন্ধান পাইনি। আমার ধারণা শাহিন আমার মেয়েকে কোথাও আটক করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে পারে। আমার মেয়ে জীবিত আছে কিনা তাও জানি না। বরগুনা থানায় ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করতে যাই। থানা মামলা নেয়নি।
শাহিনের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। বাদীর অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।