দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে রানীরবন্দরে যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন দাঁড়িয়ে থাকা দুই ভ্যানচালকসহ চারজন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় রানীরবন্দর বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি বটতলী এলাকার খোচামুদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক আব্দুল মজিদ (৫০), একই উপজেলার গোয়ালডিহি প্রাণবাজার এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম নজু (৪৫), কক্সবাজারের টেনকাফ উপজেলার হটিখোলা এলাকার মৃত মনসু চাকমার ছেলে নত্তা ইয়াং চাকমা (৫২) ও একই এলাকার ইশ এসং চাকমার ছেলে সাইওঙ্গো চাকমা (৪৫)।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, তারা মধু বিক্রি করতে এসেছিল রানীরবন্দর বাজারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসির বাস দিনাজপুর থেকে রংপুর যাচ্ছিলো। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসটি চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর বাজারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি রিক্সাভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০০ মিটার ঠেলে নিয়ে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন মধু ব্যবসায়ীকেও ধাক্কা দেয় বাসটি। ফলে ভ্যানে বসে থাকা ২ ভ্যানচালক ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ২ মধু ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এই দুর্ঘটনার পর বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা বাজারে ছুটে আসেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। স্থানীয়রা বিআরটিসির বাসটিকে আটক করলেও বাসের চালক ও হেল্পার পালিয়ে যায়।
এদিকে দুর্ঘটনার পর রানীরবন্দরে ছুটে যান চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম শরিফুল হক, চিরিরবন্দর থানার ওসি আবুল হাসনাত. হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
চিরিরবন্দর থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, মরদেহ চারটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক বাসটি ১০ মাইল হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সকালে সাড়ে ১০টায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে।